চরফ্যাসন প্রতিনিধি ॥ চরফ্যাসনে শীর্ষ সন্ত্রাসী ১৮মামলার পলাতক আসামী মুরাদ হোসেনকে বিভিন্ন ধারায় ২০বছর ৪মাসের কারাদ- একই সাথে অপর তিন আসামী জলিল, ফিরোজ ও লিটন প্রত্যেকে ৬ বছরের কারাদ- এবং ৫হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার চরফ্যাসনের যুগ্ম জেলাও দায়রা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার বিবরনে জানাযায়, ১৫সনের ৪ মার্চ রাতে ফরিদাবাদ বাদশা মিয়ার বাড়ি হতে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে নুরাবাদ ৫নং ওয়ার্ডের গনি ডাক্তার বাড়ির সামনে গেলে আসামী সন্ত্রাসী মুরাদ অস্ত্র সজ্জিত হয়ে পথরোধ করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এঘটনায় আবুল হোসেন বাদি হয়ে ১৫ সনের ১৩ মার্চ মুরাদ হোসেন, লিটন,্ আজিজ ও ফিরোজকে আসামী করে চরফ্যাসন থানায় জিআর ৫৭/১৫(চর) মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় দীর্ঘ স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে গতকাল সোমবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিচারক আসামী মুরাদ হোসেনকে ২০বছর ৪মাসের কারাদ- এবং অপর দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামী জলিল, ফিরোজ ও লিটন প্রত্যেকে ৬ বছরের কারাদ- এবং ৫হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছর করে কারাদ-াদেশ প্রদান করেন। জানাগেছে,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদের ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদ তার ছত্রছায়ায় থেকে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় মাদক,চাঁদাবাজী, ডাকাতি, প্রতারণা,নারী ধর্ষণসহ নানান অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা ১৭টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।এদিকে মামলায় রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী আবুল হোসেনসহ এলাকাবাসী। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এএম আমিনুল ইসলাম সরমান জানান, আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদের বিরুদ্ধে সন্তোষজনক রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
Leave a Reply